চিঠিটি পরেই জুঁইকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল রুমি । চোখের কোনায় এক সাগর জলরাশি নিয়ে জুঁইকে বলল
“ ফারহানের মত ছেলে এমন পাগলামি করতে পারে আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি । ফারহান আমাকে এতো ভালোবাসে আমি কেন আরও আগে বুঝতে পারলাম না । কেন... কেন... কেন...
ফারহানের যা কিছু হয়েছে সবকিছুর জন্য আমি দায়ী ! ফারহান তোমাকে আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাকে একা রেখে চলে যেতে দেবনা। তোমাকে কোমা থেকে ফিরিয়ে আনতে সকল বাবস্থা করব। প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে হলেও তোমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনব, ফারহান । আমাকে ক্ষমা করে দিও ।’’
কথাগুলো বলেই কেঁদে ফেলল রুমি । জুঁই তার স্নেহ মাখা হাত রুমির মাথায় রেখে সান্ত্বনা দিতে দিতে বলল
“ স্যাররা বলেছে , ভয়ের কোন কারন নেই । অনেক উঁচু থেকে পড়েছেল তাই মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সিটিস্ক্যান তেমন কিছুই পাওা যায়নি । প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও আঘাতের কারনে এমনটি হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্যাররা । অতিশীঘ্রই ফারহানের জ্ঞান ফিরে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
আগে যদি জানতাম ফারহান আমাকে চিঠিটা দিয়ে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের ছাঁদ থেকে লাফ দিবে তাহলে কখনই আমি ওকে ছাঁদ থেকে লাফ দিতে দিতাম না ।’’
বলেই কেঁদে ফেলল জুঁইও। কথাগুলো শুনেই ফারহানের উদ্দেশ্যে দৌড়ে গেল রুমি । ফারহান এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে অচেতন হয়ে আছে । আইসিইউতে ঢুকেই ফারহানের পাঁশে বসে পরল রুমি । ফারহানের দুই হাতকে নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে চোখ দিয়ে অঝোর ধারাই বৃষ্টি ঝরাতে লাগল । বুক ভরা আশা নিয়ে রুমি এখনও আইসিইউতে ফারহানের হাত ধরে বসে আছে …………………..…
এই বুঝি ফারহানের জ্ঞান ফিরে আসবে ......................................
No comments:
Post a Comment