রুবি জীবনের প্রথম ও শেষ ভালবাসা !! (প্রথম অংশ )
চারিদিকে ভীষণ অন্ধকার । জোনাকীগুলো যেন আমার জীবনের আমাবস্যাকে আরো ঘনীভূত করতে নিজেদের আলোকে লুকিয়ে রেখেছে । অসুস্থ বাবার পাশে বসে সেদিকেই নজর রেখেছিলাম আমি আর আনমনে ভাবতে ছিলাম এবারও কি আমি আমার বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে পারর না ! নিজের ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে বাবার ইচ্ছের মূল্যদিতে কি আমি এবারও ব্যর্থ হব ! হঠাত্ মুঠোফোনটি বেজে উঠল ! বন্ধুর ফোন সে রংপুর মেডিকেলে চ্যান্স পেয়েছে কিন্তু একথা শুনে আমার ভয় আরো বেড়ে গিয়েছিল (যদিও তার খবরে আমি খুশি হয়েছিলাম)! যদি আমি এবারও চ্যান্স না পাই তাহলে আমার অসুস্থ বাবার সুস্থ হওয়ার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যাবে ! এরপর আরো তিন-চার ঘন্টা কেটে গেলে আমি আমার ময়মনসিংহ মেডিকেলে চ্যান্স পাওয়ার খবর পাই ! পরে আমি বাবার ইচ্ছাতেই রাজশাহী মেডিকেলে মাইগ্রেশন করি । এরপর বাসা থেকে যেদিন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে চলে আসলাম সেদিন নিজেকে কেমন যেন অগোছালো মনে হয়েছিল । আমি এতটাই লাজুক ছিলাম যে প্রথম যেদিন আমাদের ওরিয়েন্টেশন হয়েছিল সেদিন কোন মেয়েতো দূরের কথা ছেলেদের সাথেই পরিচয় করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম ! এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পরে কিছু বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় । ধীরে ধীরে আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যায় । একদিন আমি আর আমার ফ্রেন্ড চা খেতে ছিলাম । সেখানেই ফুটেছিল আমার হৃদয় বাগানে ফুলেরকুঁড়ি !
চলবে .....