Thursday 11 June 2015

প্রেম বন্দি ব্লক লিস্টে!!


মেয়ে- মানুষের প্রোফাইল পিক দেখে ইনবক্সে কমেন্ট করা, আর সবকিছুকে একবারে লাইক করার মানে বুঝেন???
ছেলে- আসলে আমি ভাবিনি যে p.pic টা তোমার। আমিতো ভেবেছিলাম এটাও অন্যকারো হবে। প্রোফাইলেতো অনেকগুলো মেয়ের ছবি দেখলাম! একটার সাথে অন্যটার কোন মিল নেই! মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে একটু বিনোদনের জন্য,

মজাদার-হাস্যকর ছবি, স্ট্যাটাসে কি লাইক-কমেন্ট দেয়া যায় না! আর যদি লাইক-কমেন্ট দিলে সমস্যা হয় তাহলে আপলোড -আপডেট
দেয়ার
কি দরকার??? তাহলে ফেসবুকে fnd request accept করার কি
দরকার?????
Sorry to say u huge word. Remind you that I use fb just to remove
monotony. Not to disturb any one.
sorry..... একটু বলবেন কি সব কিছুতে লাইক দেয়ার অর্থ কি??
ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে!!
মেয়ে- excuse me,hello! ফেসবুক আমিও ব্যবহার করি.....
বুঝলেন???? কিন্তু কোনদিন কারো ইনবক্সে প্রোফাইল পিক
নিয়ে
কমেন্ট করি না। কোনদিন কারো ওয়ালে গিয়ে পূর্বের
পোস্টে
গণহারে লাইক দিয়ে ইনবক্স করি না..... বুঝলেন???? এইটা নিচু
মানসিকতার
পরিচয়! আর আপনি কেন ফেসবুক ব্যবহার করেন সেটা আপনার
মাথা
ব্যাথা, আমার না!
sorry...no interest
ছেলে- what??? interest??? Do you think i try to engage with
you???
Sorry to say you, i want to marry then love. never love before marry.
why i will marry or love you?? even i dont know you.
sorry to straightforward.
কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা মহৎ গুণ!
again sorry to say straightforward.
মেয়ে- হুমমম... আমি মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করি
না......
কিন্তু আপনি আমার ফেন্ডলিস্টে থাকার কোন যোগ্যতায়
রাখেন
না.....so bye
ছেলে- এতো সংকীর্ণ মানসিকতা সম্পন্ন কারো সাথে বন্ধুত্ব
সম্ভব নয়। আপনার মন-মানসিকতা বড় করেন! এতো সংকীর্ন মন
নিয়ে
রোগীদের কিভাবে সেবা দিবেন???? হৃদয়কে প্রশস্ত করেন....
সবকিছুকে নেগেটিভ না ভেবে একটু পজেটিভলি ভাবেন......
মানসিক
প্রশান্তি পাবেন........
কিন্তু না.... ছেলেটির শেষ ম্যাসেজ আর মেয়েটির কাছে
পোঁছায়নি.. আদো কখনো পোঁছাবে কিনা কেউ যানে না......
বাইরে থেকে এসেই রকির হাত থেকে নিজের ফোনটিকে
নিয়ে
নেয় সায়েম। "কিরে বাটপার এতোক্ষন আমার আইডিতে ঢুকে
কি
করলি??? কোন অকাম-কুকাম করিসনিতো???"
"সরী বন্ধু, তোর আইডি থেকে মেডিকেলে পড়ে Sadiaa Islam
নামের এক মেয়ের সাথে চ্যাটিং করতে ছিলাম কিন্তু দুঃখের
বিষয়
মেয়েটি ভুল বুঝে তোকে ব্লক করে দিয়েছে!!! " কথাগুলো
বলেই সায়েমের দিকে একটু অপরাধীর মতো তাকিয়ে থাকে
রকি!
নিজের প্রাণপ্রীয় বন্ধুর এমন অনুশোচনা দেখে সায়েম একটু
হেসে উঠে, রকিকে স্বাভাবিক করতে। যদিও সায়েম মনে মনে
অনেক কষ্ট পায়। এই প্রথম কেউ তাকে ব্লক করল!!!!
সময় অতিবাহিত হতে থাকে। ফেসবুকে সায়েমের লেখালেখির
পরিমাণ বাড়তে থাকে। কখনো ইসলাম, কখনো প্রেম-ভালবাসা,
কখনো নারীদের সম্মান ও অধিকার নিয়ে লিখে যায়। প্রতিটি
লেখা
মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়.... সায়েম সবার মাঝে ধীরে ধূরে এক
সম্মানের পাত্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে।
কিছুদিন থেকে Sadiaa লক্ষ্য করছে যে তার সবথেকে প্রীয়
বান্ধবী Nitu তার কাছে ফেসবুকের একটি ছেলের লেখার খুব
প্রশংসা করছে। প্রতিদিন ছেলেটির সুনাম শুনতে শুনতে
সাদিয়ার মাঝেও
ছেলেটির লেখা পড়ার আগ্রহ গড়ে উঠে। নিতু ও সাদিয়া
একসাথেই
নিয়মিত সায়েমের লেখা পড়তে থাকে।
সায়েমের ক্ষুরধার লেখনী আর নারীদের প্রতি গভীর সম্মান
দেখে সাদিয়ার মনের মাঝে অজান্তেই জায়াগা গড়ে উঠে
সায়েমের
জন্য। এতোদিন নিতুর আইডি থেকে সায়েমের লেখাগুলো
পড়লেও আজ কেন যেন সায়েম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ইচ্ছে
করছে সাদিয়ার। নিতুর আইডি থেকেই সায়েমের Info চেক করে
সাদিয়া।
নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না সাদিয়া!
অবিশ্বাসের মতো
লাগছে সবকিছু! এটাই কি সেই সায়েম যাকে আজ থেকে ২ বছর
আগে সে ব্লক করেছিল??? কনফার্ম হতে নিজের আইডি থেকে
সায়েমের আইডি ভিজিট করতে চেষ্টা করে সাদিয়া কিন্তু
ব্যর্থ হয়!
নিজের ব্লক লিস্ট চেক করে সাদিয়া! হ্যা ব্লক লিস্টের
একমাত্র
আইডিটায় সায়েমের!!
হতভম্ভ হয়ে যায় সাদিয়া! কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা সে! মনের
সাথে
যুদ্ধ করে অবশেষে ব্লকলিস্টের একমাত্র আইডিটিকে আনব্লক
করে দেয়! সেই সাথে সায়েমকে একটি ম্যাসেজ পাঠায়
সাদিয়া! "
আপনাকে ভুল বুঝে ব্লক করে দেয়ার জন্য আমি খুব দুঃখিত।
আপনাকে যতোটা খারাপ ভেবেছিলাম, তার থেকেও অনেক...
অনেক..... বেশি ভাল মানুষ আপনি। আপনার কাছে ক্ষমা
চাওয়ার ভাষা আমার জানা নেই...... যদি পারেন আমাকে
ক্ষমা করে দিয়েন..."
সায়েম প্রতিদিনের মতো তখনও ফেসবুকেই ছিল। প্রতিদিনের
মতো অসংখ্য ম্যাসেজের মাঝে একটিতে চোখ আটকে যায়
সায়েমের! এতোদিন অনেক চেষ্টা করেছে সে সাদিয়া
মেয়েটির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে! আজ সময় হয়েছে
প্রকৃত সত্য জানানোর! নিজের অপরাগতার জন্য ক্ষমা
চাওয়ার!
সায়েম মেয়েটিকে ইনবক্সে সেদিনের ঘটনা খুলে বলে, তবুও
মেয়েটি
কষ্ট পেয়েছে বলে ক্ষমা চায়।
সায়েম ও সাদিয়ার মাঝে তখন থেকে নিয়মিত কথা চলতে
থাকে!
ধীরে ধীরে সেটা প্রণয়ে পরিণত হয়! এখন সায়েমকে ছাড়া
একমুহূর্তও ভাবতে পারে না সাদিয়া! তেমনি সাদিয়াকে
ছাড়া জীবন
মূল্যহীন সায়েমের! একজনের হৃদয়ের প্রতিটি স্তরে অন্যজনের
বাস! প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন একে অপরের কথা বলে!
এখন অপেক্ষা শুধু অল্প কিছু দিনের, অপেক্ষা নতুন জীবনের,
দুটি
জীবন মিলনের! যে জীবন গড়ে উঠবে
কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে তা একান্তই কাকতালীয় ও
অনিচ্ছাকৃত এবং এর জন্য আমি দায়ী নয়!!

Dr. Zubiear

About Dr. Zubiear

Author Description here.. Nulla sagittis convallis. Curabitur consequat. Quisque metus enim, venenatis fermentum, mollis in, porta et, nibh. Duis vulputate elit in elit. Mauris dictum libero id justo.

Subscribe to this Blog via Email :