একদা একটি মেয়ে একটি ছেলেকে একটি প্রশ্ন করল। কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো নিজেই প্রশ্ন শুরু করে দিল.....
-- তুমি কি কোন লোহার দোকানে গিয়েছো?
--হ্যাঁ গিয়েছি।
--তা কিভাবে রাখা হয়?
--খোলা ভাবে।
--তুমি কি রুপার দোকানে গিয়েছো?
--হ্যাঁ গিয়েছি।
--তা কিভাবে রাখা হয়?
--ঢেকে রাখা হয়।
--তুমি কি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছো?
--হ্যাঁ গিয়েছি।
--তা কিভাবে রাখা হয়?
--তা রুপার চেয়েও বেশী ঢেকে রাখা হয়।
--তুমি কি হীরার দোকানে গিয়েছো?
--হ্যাঁ গিয়েছি।
-- তা কেমনে রাখা হয়?
--তা স্বর্ণের চেয়েও বেশী গুরুত্ব সহকারে ঢেকে রাখা হয়। কেননা তার দাম অত্যন্ত বেশী তাই, যেন তাতে ময়লা না লাগে।
মেয়েটি প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে হতাশ হয়ে চলে যেতে লাগল। তখন ছেলেটি বলতে লাগল.....
শুনে রাখ মেয়ে, ইসলামে মহিলাদের মান ও সম্মান, হীরার চেয়েও অনেক গুন বেশী। তাই তুমি নিজের মর্যাদা সমুন্নত রাখবে, পর্দায় থাকবে।
যারা তোমাকে ছোট ড্রেস পরতে বলছে, তারা তোমাকে লোহার মত ব্যবহার করতে চাই। তোমার শরীরে দাগ দেবে, ময়লা লাগাবে, মরিচা
ফেলবে। তারপর ছুড়ে ফেলে দেবে ডাস্টবিনে। ওরা তোমাকে হীরা ভাবে না, ভাবে লোহা। তারপর সাময়িক ব্যবহারের পর তোমাকে ফেলে দেবে।
তাই একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখুন যে, আপনার মান সম্মান ও ভবিষ্যৎ
এর কথা । মনে রাখবেন আপনার যৌবন চিরদিন থাকবে না, এই যৌবন জীবনের শেষ বয়সে
থাকে না, তখন কি করবেন ????? তখন কি আর নিজেকে প্রদর্শন করে চলতে
পারবেন?????
আর এটাই কিন্তু শেষ দুনিয়া নয়, আখিরাত বলেও কিন্তু কিছু আছে । তখন কিন্তু সবকিছুর হিসেব নেয়া হবে।
স্মরণ রাখুন নিচের আয়াতটি......
ﻭَﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻳَﻐْﻀُﻀْﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻦَّ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈْﻦَ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ
ﺯِﻳﻨَﺘَﻬُﻦَّ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻭَﻟْﻴَﻀْﺮِﺑْﻦَ ﺑِﺨُﻤُﺮِﻫِﻦَّ ﻋَﻠَﻰ ﺟُﻴُﻮﺑِﻬِﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﺯِﻳﻨَﺘَﻬُﻦَّ
ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﺒُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺁﺑَﺎﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺁﺑَﺎﺀ ﺑُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀ ﺑُﻌُﻮﻟَﺘِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ
ﺇِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺑَﻨِﻲ ﺇِﺧْﻮَﺍﻧِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺧَﻮَﺍﺗِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﻧِﺴَﺎﺋِﻬِﻦَّ ﺃَﻭْ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻬُﻦَّ
ﺃَﻭِ ﺍﻟﺘَّﺎﺑِﻌِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮِ ﺃُﻭْﻟِﻲ ﺍﻟْﺈِﺭْﺑَﺔِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﺃَﻭِ ﺍﻟﻄِّﻔْﻞِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ
ﻋَﻮْﺭَﺍﺕِ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻀْﺮِﺑْﻦَ ﺑِﺄَﺭْﺟُﻠِﻬِﻦَّ ﻟِﻴُﻌْﻠَﻢَ ﻣَﺎ ﻳُﺨْﻔِﻴﻦَ ﻣِﻦ ﺯِﻳﻨَﺘِﻬِﻦَّ ﻭَﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥ
আর মুমিন মহিলাদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর তারা যেন
স্বীয় সাজসৌন্দর্য না দেখায়, তবে যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় । তা
ছাড়া তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে। এবং তারা কারো সামনে
তাদের সাজসৌন্দর্য প্রকাশ করবে না এই মাহরাম আত্মীয়গণ ব্যতীত যথা স্বামী,
পিতা, শ্বশুর, পুত্র, ভ্রাতা ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক,
অধিকারভুক্ত, বাঁদী, নারীর প্রতি স্পৃহাহীন সেবক, ওই সব বালক যারা নারীর
গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয়নি। তারা যেন পথচলার সময় এমন পদধ্বনি না
করে
যাতে তাদের অপ্রকাশিত সৌন্দর্য পদধ্বনিতে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ‘হে
মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরাঃ
নূর, আয়াত-৩১)।
আর যে সব পুরুষেরা ভাবছেন, ছেলেদের পর্দা নেই,
তারা একটু খেয়াল করুন সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে মেয়েদের পর্দার আগেই, ৩০ নং
আয়াতে ছেলেদের পর্দার কথা বলা হয়েছে...
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন........
"হে নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম)! মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা
যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।
এটি তাদের জন্য পূত-পবিত্র পদ্ধতি। তারা যা কিছু করে, আল্লাহ তা জানেন।
( সুরাঃ নূর, আয়াত- ৩০)"
Saturday, 26 March 2016
হিজাব
About Dr. Zubiear
Author Description here.. Nulla sagittis convallis. Curabitur consequat. Quisque metus enim, venenatis fermentum, mollis in, porta et, nibh. Duis vulputate elit in elit. Mauris dictum libero id justo.