Skip to main content

Posts

একটি চিঠি ও অবাক্ত ভালবাসা !! পর্ব ২

একটি চিঠি ও অবাক্ত ভালবাসা !! পর্ব ১ চিঠিটি পরেই জুঁইকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল রুমি । চোখের কোনায় এক সাগর জলরাশি নিয়ে জুঁইকে বলল “ ফারহানের মত ছেলে এমন পাগলামি করতে পারে আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি । ফারহান আমাকে এতো ভালোবাসে আমি কেন আরও আগে বুঝতে পারলাম না । কেন ... কেন ... কেন ... ফারহানের যা কিছু হয়েছে সবকিছুর জন্য আমি দায়ী ! ফারহান তোমাকে আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাকে একা রেখে চলে যেতে দেবনা। তোমাকে কোমা থেকে ফিরিয়ে আনতে সকল বাবস্থা করব। প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে হলেও তোমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনব , ফারহান । আমাকে ক্ষমা করে দিও । ’’ কথাগুলো বলেই কেঁদে ফেলল রুমি । জুঁই তার স্নেহ মাখা হাত রুমির মাথায় রেখে সান্ত্বনা দিতে দিতে বলল “ স্যাররা বলেছে , ভয়ের কোন কারন নেই । অনেক উঁচু থেকে পড়েছেল তাই মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সিটিস্ক্যান তেমন কিছুই পাওা যায়নি । প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও আঘাতের কারনে এমনটি হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্য...

একটি চিঠি ও অবাক্ত ভালবাসা !! পর্ব ১

“ প্রীয়া , অন্তিম ভালোবাসায় তোমাকে শেষবারের মত মাতিয়ে দিতে টুকটুকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। এই শেষ চিঠিটি যখন তোমার হাতে , তখন আমি তোমাকে ছেড়ে অনেক দূরে ছলে এসেছি । যেখান থেকে তোমাকে দেখতে আমার কোন বাঁধাই অতিক্রম করতে হয় না ! তোমাকে দুচোখ ভরে হয়তোবা দেখে যাচ্ছি । অবশেষে বুঝতে পারলাম , আমাদের পৃথিবীতে তোমাকে আমি কখনোই আপন করে পাব না ! আমার পৃথিবী , তোমাকে ছাড়া কখনোই পূর্ণতা লাভ করবে না ! এই শূন্য পৃথিবী আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে ! শূন্য পৃথিবীতে চলতে যে সাহসের প্রয়োজন হয় সেটা অনেক আগেই আমি তোমার মাঝে হারিয়ে ফেলেছি । এই পৃথিবীতে চলতে গেলে সেই সাহসের খুবই প্রয়োজন । তোমার ভালোবাসাই আমাকে পৃথিবীতে চলার সাহস যুগিয়েছিল ! কিন্তু সেই ভালবাসা তুমি আমাকে কখনোই দিবে না ! তুমি চেয়েছিলে যেন কখনোই তোমার ক্লাসম্যাটের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক গড়ে না উঠে । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস , সেই তোমাকেই কিনা আমি আমার জীবনের থেকেও বেশী ভালোবেসে ফেললাম । আমিও চাইনি কখনো ক...

প্রেম বন্দি ব্লক লিস্টে!!

মেয়ে- মানুষের প্রোফাইল পিক দেখে ইনবক্সে কমেন্ট করা, আর সবকিছুকে একবারে লাইক করার মানে বুঝেন??? ছেলে- আসলে আমি ভাবিনি যে p.pic টা তোমার। আমিতো ভেবেছিলাম এটাও অন্যকারো হবে। প্রোফাইলেতো অনেকগুলো মেয়ের ছবি দেখলাম! একটার সাথে অন্যটার কোন মিল নেই! মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে একটু বিনোদনের জন্য,

মেয়ে তোমার হৃদয় পঠে

মেয়ে তোমার হৃদয় পঠে  আমার ছবি ভেঁসে উঠে কি????  রাতের আধারে আমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখ কি!!!  আমার হৃদয়ে তোমার ছবি একে রেখেছি! মেয়ে তোমার হৃদয় পঠে  আমার ছবি ভেঁসে উঠে কি?????  স্বপ্নে এসে মন কেড়েছ  হৃদয়ে প্রেমের আগুন জ্বেলেছ  সেই আগুনে মরি মরি হায়  মেয়ে তোমায় ভালবেসে হয়েছি পাগলপ্রায়  তোমার হাতে রেখে হাত  চায় কাঁটাতে গহীন সারা রাত...  মেয়ে তোমায় ভালবাসি, বুঝতে পার কি  তোমায় ভেবে বেঁচে রয়েছি  মেয়ে তোমার হৃদয় পটে  আমার ছবি ভেঁসে উঠে কি!!!! মিষ্টি মুখের দুষ্টু হাসি  প্রাণ জুড়িয়ে দেয়  ভ্রমর কালো নয়ন তোমার  ক্ষনে ক্ষনে চায়  মেয়ে তোমায় ভালবাসি বুঝতে পার কি  এই হৃদয়ে তোমায় ভেবে  বেঁচে রয়েছি.... বেঁচে রয়েছি.....

ভালবাসার প্রতিক্ষার অবসান

ঘুম থেকে উঠেই ড্রেসিংটেবিলের উপর রাখা একগুচ্ছ গোলাপের দিকে দৃষ্টি আটকিয়ে যায় নিশাতের!! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না! ভাবছে মনে হয় স্বপ্ন দেখছে সে!! গায়ে চিমটি কেটে শিওর হয়ে নেয়!! না... এতো স্বপ্ন নয়..... এতো বাস্তব..... এতো সুন্দর করে একগুচ্ছ গোলাপতো শুধু একজনই বাঁধতে পারে কিন্তু সেতো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে!! হৃদয়ের মাঝে ধীরে ধীরে গড়ে উঠা স্বপ্নকে কাচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে ছারখার করে দিয়েছে!! জীবনের আশার প্রদীপ এক নিমিষেই নিভিয়ে দিয়ে চলে গেছে অনেক দূরে!! যাকে মনে রাখার কারনে জীবনকে নতুনভাবে গড়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে! কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ফুলের মাঝে থাকা এক টুকরো কাগজের দিকে চোখ আটকে যায় নিশাতের!! সেই পরিচিত হাতের লেখা...... একই ধরনের অভিব্যক্তি..... নিশি..... "নিশি তোমাকে কিভাবে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না! তোমাকে অভিবাধনের ভাষা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি!! নিজের মনের মাঝে গড়ে উঠা পাহাড়সম দুঃখে সবকিছু চাপা পড়ে আছে!! সেখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন উপায় খুজে পাইনি!! জানি না তোমার মনের মাঝে আমার জন্য ভালবাসার পরিবর্তে এখনো ক্ষোভ-অভিমান জমে আছে কিনা!! শুধু জানি আমাক...

নয়নিকা !!!!!!!!!!

সায়নের বুকের উপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটি। মেয়েটি এখনো তার তুলতুলে হাতের মাঝে সায়নের হাতকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। যেন পৃথিবীর কোন শক্তি, এমনকি মৃত্যুও যেন, তার হাতকে আলাদা করতে না পারে। রাতে যে এভাবে ঘুমিয়ে পড়বে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি মেয়েটি। ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটিকে এমন অবস্থায় দেখে কিছুটা মায়া হয় সায়নের। মেয়েটির চাঁদের মতো সুন্দর স্নিগ্ধ মুখটি, কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। চুলগুলো এলোমেলে, মায়াবী চোখের সেই মনোহরীনি চাহনি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। শুষ্ক, বিবর্ণমুখ দেখে যে কেউ বলে দিতে পারে, মেয়েটি গত ২/৩ দিন কঠোর পরিশ্রম করেছে! এমনকি রাতেও ঠিকভাবে মনে হয় ঘুমাতে পারেনি! নয়নিকার হাতের মধ্য থেকে নিজের হাতটিকে খুবই সতর্কভাবে বের করে নেয় সায়ন, যাতে নয়নিকার ঘুম না ভেঙ্গে যায়। মেয়েটির মাথায় আলতোভাবে হাত বুলাতে থাকে সায়ন আর মনে করতে চেষ্টা করে কি হয়েছিল তার। মেয়েটি বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমানোর সময় সায়ন এক স্বর্গীয় সুখ অনুভব করে। এতো হারিয়ে যাওয়া সেই হৃদয়ের সুখ! অথচ এই মেয়েটিই আজ থেকে ২ সপ্তাহ আগে বাসর রাতে যখন এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন হৃদয়ের মাঝে সুখের পরিবর্তে কেমন যেন ...

কেউ সন্ধ্যাদীপ জ্বালাবে না, নামাযে ডেকে দিবে না!

তুলসী গাছটির নিচে আর কেউ সন্ধ্যাদীপ জ্বালাবে না, ফজরের নামাযে আর কেউ ডেকে দিবে না! প্রতিদিন যে মেয়েটি সন্ধ্যাদীপ জ্বালাতো আজকের পর থেকে সেই মেয়েটি আর কখনো প্রদীপ জ্বালাবে না। যে ছেলেটি নিয়মিত নামায পরে, হয়তো এরপর থেকে তার ফজরের নামাযটি কাজা হয়ে যাবে ঘুমে আচ্ছাদিত থেকে। হয়তো জীবন থেকে হারিয়ে যাবে স্নিগ্ধ প্রেম, স্রস্টা প্রদত্ত ভালবাসা! আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে এই মেয়েটির সাথে প্রথম দেখা হয় মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরীতে। রুমে পড়তে ভাল না লাগায় নিয়মিত লাইব্রেরীতে যেতাম। একটি মেয়েকে দেখতাম সবসময় লাইব্রেরীর একটি নির্দিষ্ট দিকেই বসে পড়তে। একদিন গ্রে এর এনাটমি বই নিয়ে এসে একটি মেয়ে আমাকে বলছে হার্টের ভালব এর গঠন বুঝিয়ে দিতে। সেই থেকে রুবি মেয়েটির সাথে পার্টনারশিপ শুরু। নিয়মিত একসাথে লাইব্রেরী তে পড়তাম, রাতের বেলায় মোবাইলে একে অন্যকে প্রশ্ন করতাম আর উত্তর শুনতাম। এভাবে কেটে যায় ১ বছর। ধীরে ধীরে মেয়েটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে আমার নতুন পৃথিবী! যে পৃথিবী রুবি রায় ছাড়া অর্থহীন! আমার স্বপ্নময় পৃথিবীর একমাত্র রাণী সে। তার স্বপ্নলোকের একমাত্র অধিপতি আমি দিপ্ত! একদিন সকালে আমার বুকে ম...