সায়নের বুকের উপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটি। মেয়েটি এখনো তার তুলতুলে হাতের মাঝে সায়নের হাতকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। যেন পৃথিবীর কোন শক্তি, এমনকি মৃত্যুও যেন, তার হাতকে আলাদা করতে না পারে। রাতে যে এভাবে ঘুমিয়ে পড়বে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি মেয়েটি। ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটিকে এমন অবস্থায় দেখে কিছুটা মায়া হয় সায়নের। মেয়েটির চাঁদের মতো সুন্দর স্নিগ্ধ মুখটি, কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। চুলগুলো এলোমেলে, মায়াবী চোখের সেই মনোহরীনি চাহনি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। শুষ্ক, বিবর্ণমুখ দেখে যে কেউ বলে দিতে পারে, মেয়েটি গত ২/৩ দিন কঠোর পরিশ্রম করেছে! এমনকি রাতেও ঠিকভাবে মনে হয় ঘুমাতে পারেনি! নয়নিকার হাতের মধ্য থেকে নিজের হাতটিকে খুবই সতর্কভাবে বের করে নেয় সায়ন, যাতে নয়নিকার ঘুম না ভেঙ্গে যায়। মেয়েটির মাথায় আলতোভাবে হাত বুলাতে থাকে সায়ন আর মনে করতে চেষ্টা করে কি হয়েছিল তার। মেয়েটি বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমানোর সময় সায়ন এক স্বর্গীয় সুখ অনুভব করে। এতো হারিয়ে যাওয়া সেই হৃদয়ের সুখ! অথচ এই মেয়েটিই আজ থেকে ২ সপ্তাহ আগে বাসর রাতে যখন এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন হৃদয়ের মাঝে সুখের পরিবর্তে কেমন যেন ...